পানি নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

পানি নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যের ডাক প্রধানমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক : পানি সম্পর্কিত অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জাপানের কুমামোটো শহরে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি: সর্বোত্তম ব্যবহার এবং পরবর্তী প্রজন্ম’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী পানি সম্মেলনে শনিবার (২৩ এপ্রিল) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করার জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো অনুশীলন, জ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বিত শক্তির বিনিময় ঘটাতে হবে এবং আন্তঃসীমান্ত নদী ব্যবস্থাপনায় অববাহিকা ভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহসহ আঞ্চলিক ও উপ-আলিক সহযোগিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন উদ্যোগ ‘বিল্ড ব্যাক বেটারের’ জন্য একটি উন্নত পানি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় অববাহিকা ভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।পানিকে জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন এবং শান্তির সংস্কৃতির প্রচারের জন্য এটি মৌলিক। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ‘ভালোভাবে পুনরুদ্ধারের’ জন্য আমাদের সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজিতে পানি সম্পর্কিত বিষয়সহ পানির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারগুলো পূরণ করার জন্য তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ঋণী।শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যুবকদের অবশ্যই ক্ষমতায়িত করতে হবে, যাতে তারা দক্ষ ও টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক পানি ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিতে পারে।নিরাপদ পানি নিশ্চিতে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার পানি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমগ্র সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। দেশের ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষের নিরাপদ পানীয় জল এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা রয়েছে।তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের অবসান ঘটিয়েছি। পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চলছে। আগামী মাস থেকে আমরা রাজধানীতে ২৩ লাখ কলেরা ভ্যাকসিন দেব।প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বন্যার নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, উপকূলীয় পোল্ডার, সবুজ বেষ্টনি, ভাসমান কৃষি, নদী খনন এবং শহরের ঝড়ের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

মাদারীপুরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের (Stakeholders) অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা