নিজস্ব প্রতিবেদক : জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে ‘স্থিতাবস্থা’ জারি করেছেন চেম্বার আদালত। এই রায়ের ফলে, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেউ এই পদে বসবে না।বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের আদেশের পরই সন্ধ্যায় এফডিসিতে হাজির হয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন নিপুণ আক্তার। এ সময় তিনি বলেন, আগেও বলেছিলাম আমি ন্যায় বিচার চাই। আদালতের রায়ে আমরা সবাই সন্তুষ্ট ও আস্থাশীল। এখন আর চেয়ারে বসতে বাধা থাকলো না। আসলে উনারা একটা রুল জারি করেছিলেন, সেটা আসলে মেইনটেইন অ্যাবল না- যা পরে ফুলবেঞ্চে শুনানি হবে। আর আপিল নিয়ে যে রায়টা ছিলো, তা আজ বাতিল হয়ে গেছে।তিনি আরও বলেন, চেয়ারে বসেই যারা বাদ পড়েছিলেন শিল্পীরা, তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের প্রথম কাজ হবে। তাদের সদস্য পদটা ফিরিয়ে দেওয়াই আমাদের প্রধান কাজ।জায়দে খানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাকে বলবো আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করি। আমি বারবারই কিন্তু বলেছি প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনতে চাই। আমাকে আমার কাজটি একটু করতে দেন। এই কাজ যখন করা শেষ হবে তখন এই চেয়ারটা আমি দিয়ে দিব। আমি আগেই বলেছি এই চেয়ারটা আমার জন্য সব না। কিন্তু যখন দেখলাম যদি কিছু করতে চাই এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য, তাহলে এই চেয়ারটা আমার গুরুত্বপূর্ণ। ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলে ৫ ফেব্রুয়ারি সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে।পরে নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে আদালতের দারস্থ হন জায়েদ খান।