সরকারি কর্মচারীরা জনগণকে সেবা দিতে বাধ্য

সরকারি কর্মচারীরা জনগণকে সেবা দিতে বাধ্য
মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, প্রশাসনের সেবা পায়
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইন ও প্রশাসনের কর্মচারীদের নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন ও প্রশাসন কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী উন্নয়ন প্রশাসন গড়ে তুলে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় সেটা নিশ্চিত করবেন।তিনি বলেন, বিচারের বাণী যেন কখনো নিভৃতে না কাঁদে, মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, মানুষ যেন প্রশাসনের সেবাটা পায়।বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। কারণ, আমি তার ভুক্তভোগী। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা খুনি তাদের বিচার যাতে না হয়, সে জন্য ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। বিচারের হাত থেকে তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমরা যারা বাবা-মা হারিয়েছি, স্বজন হারিয়েছি, আমাদের অধিকার ছিল না মামলা করার বা বিচার চাইবার।সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম বড় প্রণোদনা হলো তাদের পদোন্নতি। ২০০৯ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে সব ব্যাচকে তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের তাদের উদ্যমী কার্যক্রমের স্বীকৃতি দিতে আমরা একাধিক পুরস্কারেরও ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা শুধু বাড়ানোই নয়, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ-নির্মাণ-ঋণ, গাড়ি কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হচ্ছে এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসিক আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। আবাসনের জন্যও উন্নত ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

হামাসের দাবি মানবে না ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

মাদারীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত