১. যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায় তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে শিক্ষার্থীরা পারিবারিক পরিমণ্ডলে কোলাহলের মধ্যে থাকে, এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে কোনো একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কিনা সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ চাওয়া হবে।
২. যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান করে রেখেছে তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে এ রি-ওপেনিং প্ল্যানকে আগামী সাতদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করবে এবং প্রতিদিন প্রতিবেদন তৈরি করবে। আগামী সাতদিনের মধ্যে মনিটরিং প্রতিবেদন তৈরি করার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের যে সমস্ত শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছে, টিকাগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেনি কিন্তু শিক্ষার্থীর এনআইডি আছে, যাদের এনআইডি নেই কিন্তু তাদের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে এবং যাদের বয়স এখনও ১৮ হয়নি তাদের একটি তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাদের এনআইডি নেই কিন্ত তাদের বিয়স ১৮ এর ওপর তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইডি পাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে। তারপর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর টিকাগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। টিকা পাওয়া শিক্ষার্থীদের শরীরে এন্টিবডি হওয়ার জন্য ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৫. আগামী ১ সেপ্টেম্বর আবার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে।