ঢাকা: মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি ও কমার পেছনে চালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই মাসে সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেলেও মূল্যস্ফীতির হার কম দেখিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।চলতি বছরের জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।
একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জুলাই মাসের শুরুতেই বাজারে সব ধরনের চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেড়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের দৈনিক মূল্য তালিকায় সব ধরনের চালের দাম বাড়ার চিত্র দেখা গেছে। টিসিবি বলছে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সরু চাল ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ দাম বেড়েছে। মাঝারি আকারের চাল কেজিতে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি মোটা চালের দাম সাত দিনের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে।জুলাই মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুগ্ধ জাতীয় ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে কমেছে।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এর আগে জুন মাসের বিধিনিষেধে নিত্যপণ্য পরিবহনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে জুনে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে জুনের পরিবর্তে জুলাই মাসে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক থাকায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। অন্যান্য মাসে মূল্যস্ফীতির এক খাতে কমলে আরেক খাতে বাড়ে। কিন্তু জুলাই মাসে সব খাতেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যা গত জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।মন্ত্রী বলেন, বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জুলাই মাসে খাদ্য বহির্ভূত ও খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার কমার ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে।