নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল আজহার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে একটানা ৫দিন বন্ধ থাকার রোববার (২৫ জুলাই) খুলেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের কারণে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির ছাড়া (২৫ জুলাই) থেকে ৫ আগস্ট প্রত্যেক কর্ম দিবসে ব্যাংকে লেনদেন চলবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। তবে, অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলার বিষয়ে ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঈদের আগে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে। এসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় ১টি করে শাখা খোলা রাখতে হবে। অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে ১টি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক ২টি শাখা খোলা রাখা যাবে।গ্রাহকদের হিসাবে নগদ-চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট-পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা-অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সকল গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধা বহির্ভুত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস-ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। সমুদ্র-স্থল-বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা-উপ-শাখা-বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর-কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিধি-নিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধকৃত শাখার গ্রাহকগণের গ্রাহক সেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে উক্ত শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। সব খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি পরিপালনপূর্বক সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্ব স্ব অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহ যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা থাকবে। ঈদুল আজহার ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ ছিল ২০, ২১ ও ২২ জুলাই এবং সাপ্তাহিক ছুটি ছিল ২৩ ও ২৪ জুলাই। ঈদের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় একটনা ৫দিন বন্ধ ছিল দেশের ব্যাংকিংখাত।