জমিয়তের জোট ছাড়া নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

জমিয়তের জোট ছাড়া নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, জমিয়তের যে আমির ছিলেন নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব, অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। একজন সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক মানুষ বলতে যা বোঝায় তিনি সেরকমই ছিলেন। তিনি বড় আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদও ছিলেন। তিনি মারা যাওয়াতেই সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি যখন মারা যান আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। তার পরপরই আমি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম। তার মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি শোকবাণী দিয়েছি। পরবর্তীকালে ২৬ মার্চ মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে যতগুলো সমস্যা হয়েছে মামলা-হামলা-আক্রমণ; সব সময় আমি স্টেটমেন্ট দিয়েছি, সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে তিনি বললেন, আলেম-ওলামাদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি। আমিই তো সবচেয়ে আগে কথা বলেছি। মানুষ আশা করে যে, আলেম-ওলামারা সত্য কথা বলবেন। কিন্তু এটা ওনারা কীভাবে বললেন? দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের প্রতি মানুষের সেই আস্থা থাকবে কিনা আমি জানি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শরিয়া আইনে বিশ্বাস করি না এটাও বলেছেন, আমাদের সংগঠন পড়ে দেখবেন শরিয়া আইনের বিষয়টা নাই। ওনারা চান ওনারা করুক। শরিয়া আইনের বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার করে বলা আছে, আমরা কখনো শরিয়া বিরোধী কোনো আইন পাস করবো না। আমরা যখন সরকারে ছিলাম সেটা করিনি। কিন্তু একথা বলা যে, আমরা শরিয়া আইনের বিরোধিতা করেছি, ইসলামি মূলবোধে বিশ্বাসী না, এসব কথাবার্তা বলা মানে হলো ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। এটা আমি মনে করি ওনারা ভালো কাজ করেননি। এ সমস্ত ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে ওনারা দূরে সরে আসবেন। বিরোধী রাজনীতিতে ওনারা টিকতে পারছেন না, সেই কারণে ওনারা চলে যাচ্ছেন, সেটা বলে দিলেই তো হয় যে, সরকারের প্রচণ্ড চাপে আমরা টিকতে পারছি না। মামলা-মোকদ্দমায় ভীষণভাবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছি। এটা না বলে কাউকে ব্যক্তিগত দোষারোপ করা সঠিক কাজ নয়।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ওনারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, অনেক দিন ধরে দেন-দরবার করছেন, শেষ পর্যন্ত এটা হয়েছে। যাই হোক এটা আমি বলতে চাই না। আমি বলছি তারা চাপে টিকতে পারছে না, সেজন্য ছেড়ে দিয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া