প্রকল্পের অফিস সাজানোর ব্যয় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা

প্রকল্পের অফিস সাজানোর ব্যয় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
প্রকল্প কার্যালয়ের সাজসজ্জা ব্যয়ই ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ধরার প্রসঙ্গে ইউজিসি সচিব বলেন, প্রকল্পটি নানা সংস্থা বাস্তবায়ন করবে। সামনে পিইসি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সব কিছু বিস্তারিত আলোচনা হবে। এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিক্ষা উইং মতামত তুলে ধরে জানায়, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন হলো ‘বিস্তারিত স্টাডি না করে এবং যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই না করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না’ এবং  ‘সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন পদ্ধতি-২০১৬’ পরিপত্র অনুযায়ী নতুন প্রকল্প গ্রহণে সম্ভাব্যতা যাচাই বাধ্যতামূলক থাকলেও এ প্রকল্প গ্রহণে পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদিত ছক মোতাবেক সম্ভাব্যতা যাচাই করা ও সে আলোকে ডিপিপি গঠন করা হয়নি। তাই বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় এ ধরণের প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শোনা যেতে পারে বলে জানায় কমিশন।প্রকল্পে ৯১ জন জনবলের প্রস্তাব করা হলেও এতে সুস্পষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য উল্লেখ করা হয়নি। এত বিপুল সংখ্যক জনবলের আদৌ প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা সুষ্পষ্ট নয়। এছাড়া অর্থ বিভাগের নির্ধারিত কমিটির অনুমোদিত জনবল কাঠামো সংযুক্ত করা হয়নি। এছাড়া জনবলের রূপরেখা সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হলেও তা অস্পষ্ট নয়। প্রকল্পের অনুমোদিত জনবল কাঠামো প্রতিবেদন ও জনবলের সুস্পষ্ট সংখ্যা ও হিসাব সম্পর্কিত তথ্য পিইসি সভায় উপস্থাপন করা যেতে পারে। ক্রয় পরকিল্পনায় অনেক আইটেমের সংখ্যা নেই। তাহলে ব্যয় কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।ইউজিসি চলতি সময় থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২২২ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক।  বাংলাদেশের সব সরকারি ও ইউজিসির অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব ওমেন্স( চট্টগ্রাম) প্রকল্প এলাকা হিসেবে ধরা হয়েছে।  বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, কম শিক্ষিতদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি। প্রায় ৩৯ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ৪৬ শতাংশ মহাবিদ্যালয় থেকে ১-২ বছরে স্মাতক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছে না। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারীদের সম্ভাবনার একটি বিরাট সুযোগ রয়ে গেছে। এছাড়া বিশ্ব কোভিড -১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টিসহ নারী শিক্ষার্থীদের হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ফ্যাসিবাদের কারখানা ছিল মাদারীপুর: নাছির উদ্দিন নাছির

মাদকের টাকার জন্য মা’কে হত্যা: নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিলেন ছেলে