ঈদের কেনাকাটা করতে অনেকে নারী-শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিড় করছেন শপিংমলগুলোতে।
ঈদের কেনা কাটা করতে পরিবার নিয়ে শনির আখড়ার ‘আরএস শপিংমল’-এ এসেছেন মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ঈদে নতুন জামাকাপড় কিনতে এসেছি। অনেক দিন হলো পরিবারের কারও জন্য নতুন জামাকাপড় কেনা হয়নি।করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঝুঁকি এবং মার্কেটগুলোতে মানুষের ভিড় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে মনোয়ার হোসেন বলেন, কপাল খারাপ হলে কিছু করার নাই।এই মহামারির মধ্যে নিরাপদে থাকার চেয়ে কেনাকাটা কতটা জরুরি প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং কোনো জবাব দেননি।
মনোয়ার হোসেনের মতো বহু মানুষ ঈদের কেনা কাটা করতে মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন। যাদের প্রায় সবাই করোনা মহামারি নিয়ে উদাসীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শপিংমলের একজন দোকানী বলেন, ক্রেতারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানেন সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি আমরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা গেলেও শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মার্কেটগুলো এবং আশপাশের সড়কগুলোতে মানুষের ভিড়ের কারণে বেকায়দায় পড়ছেন সত্যিকারের জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ। ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছেন শনির আখড়ার বাসিন্দা আবদুল গফুর। তিনি বলেন, এই মহামারির মধ্যেও যারা ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে ভিড় করছে তাদের আক্কেল জ্ঞান কম। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মারা যাচ্ছে তারপরও এরা সর্তক হয় না। আবদুল গফুর আরও বলেন, কত মানুষ না খেয়ে কষ্টে আছে। অথচ এক শ্রেণির মানুষ নতুন জামা কাপড় উৎসবে মেতেছে। এতোটা জরুরি কেনাকাটার মধ্যে পড়ে না। কয়দিন পরে কিনলেও কোন ক্ষতি নেই।