রাস্তায় বেরিয়েই পুলিশি জেরার মুখে সাধারণ মানুষ

রাস্তায় বেরিয়েই পুলিশি জেরার মুখে সাধারণ মানুষ

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধোলাইপাড় এলাকায় ভ্যানে করে যাচ্ছিলেন কয়েকজন নারী-পুরুষ। এসময় মোটরসাইকেলের টহলরত দু’জন পুলিশ সদস্য তাদের থামিয়ে জানতে চাইলেন বাইরে বের হয়েছেন কেন, কোথায় যাচ্ছেন? কেউ হাসপাতলে, কেউ বাজারে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।

এসময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা কনেস্টবলকে বলতে শোনা যায়- লকডাউনে আপনারা বাইরে যাবেন, বাজার করবেন, ঘুরতে বের হবেন আর আমাদের কষ্ট করতে হবে!

তার একটু পর ধোলাইপাড় টং মার্কেট এলাকায় দেখা যায় মোড়ে পুলিশ এবং রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উৎসুক জনতা গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন পুলিশের কার্যক্রম। তবে সড়কে নামলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

সকাল ১০টার দিকে ইংলিশ রোড এবং রায়সাহেব বাজার মোড়ে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যানবাহন বন্ধ থাকায় মানুষ রিকশায় করে প্রয়োজনীয় কাজে যাচ্ছে। পুলিশ তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন। কিন্তু সদুত্তর না পাওয়ায় অনেককেই রিকশা থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের চলাচল সীমিত করতে এই মোড়েও দু’টি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশি অবস্থান ছাড়াও পুলিশি টহল এবং মোবাইল কোট লকডাউনে তৎপর রয়েছে। সোয়া ১০টার দিকে ইংলিশ রোড এলাকায় মোবাইল কোট টহল দিতে দেখা যায়।বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, উপরের নির্দেশে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। উদ্দেশ্য একটাই, করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে।এদিকে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকে রাস্তায় নেমেছেন। যানবাহন না থাকলেও রাস্তায় বেশকিছু রিকশা-ভ্যান চোখে পড়েছে। তবে রিকশা-ভ্যান আটক করে রাখতে দেখা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে। পুরান ঢাকার মানুষের চলাচল সীমিত করতে কলতা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন