নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীর নামে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে গাজীপুরের বাসন থানায় মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেন।মোস্তাফিজুর রহমান গাজীপুরের টেকনগপাড়া এলাকার বাসিন্দা।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছু বিপদগামী ধর্মীয় লেবাসধারী লোক দেশের সমৃদ্ধি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানী তাদের মধ্যে অন্যতম। রফিকুল ইসলাম মাদানী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মারকাজুন নুর আল ইসলামিয়া মাদরাসায় বসে দেশদ্রোহী ও নাশকতার কার্যকলাপ চালায়। একইসঙ্গে নাশকতা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রফিকুল ইসলাম মাদানী। তিনি তার বক্ত্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার পেছনে অন্যতম হিসাবে কাজ করেছেন।তিনি গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হেয়প্রতিপন্ন করেছেন।এছাড়া দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে ফেসবুক পেইজ, ইন্টারনেট ও ইউটিউবে আপলোড করে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অস্থিরতা হিসেবে মূল কারণ হিসাবে কাজ করেছে। তার এসব বক্তব্যের ভিডিও ইউটিউবে ইসলামিক জীবন নামে ফেসবুক পেইজ থেকে আপলোড করা হয়।গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাসন থানায় ডিজিটাল আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।বুধবার (৭ এপ্রিল) রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুলকে মতিঝিল থেকে আটক করে পুলিশ। পরে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এরপর হেফাজতের নানা সহিংস কর্মকাণ্ড এবং হেফাজত নেতা মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে পাওয়ার ঘটনায় অনলাইনে আপত্তিকর বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম। ফেসবুক লাইভে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা বক্তব্য দেন তিনি।