ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণ নেই: অর্থমন্ত্রী

ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণ নেই: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সংশয় নেই উল্লেখ করে ভ্যাকসিন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী। করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সংশয় আছে বলে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো মেসেজ আমার কাছে নেই। নানা জন নানা কথা বলবে। আমরা ভ্যাকসিনের জন্য ইতোমধ্যে টাকা পরিশোধ করেছি। ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণ নেই, আমরা পাব। চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ অনেক বাড়ছে, গত বছরের মতো এ বছরও অফিস-আদালত বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অন্যতম একটি বিষয় হলো ভ্যাকসিন, সেই ভ্যাকসিনের কাজ চলমান। এখানে কিছু বিষয়কে সামনে রেখে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করব। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে জানিয়েছেন। সেই পদক্ষেপগুলো পরিপালন করা হবে। সেগুলো পরিপালন হলে আমি মনে করি করোনা সংক্রমণ কমে আসবে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশেরও কষ্ট হবে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, এতে আগামীতে অর্থনীতি চাপে পড়তে পারে কি-না বা কোনো ঝুঁকি আছে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকি, আশা করি নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাহলে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়ব বলে মনে করি না। তারপরও বিশ্ব অর্থনীতির আঙিনায় আমরা একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের যারা বায়ার (ক্রেতা) তারা যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে আমাদেরও কষ্ট হবে। আমাদের দুইটা সোর্স- একটা ডমেস্টিক মার্কেট আরেকটা ওভারসিজ মার্কেট। আমাদের ডমেস্টিক যে প্রোডাকশনটা আছে সেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এই ইমপ্যাক্টটা যদি লম্বা সময় ধরে থাকে তাহলে সমস্যা। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রত্যেক দেশেই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে, সবাই ভ্যাকসিন নিচ্ছে। ভ্যাকসিন নেয়া শেষ হয়ে গেলে করোনার প্রভাবটা কমে আসবে। এটাই এখন সারাবিশ্ব প্রত্যাশা করে আছে। যেখানে যেখানে ভ্যাকসিন দিয়েছে সেখানে সেখানে করোনা কমে আসছে। আমরা এই প্রত্যাশা নিয়েই আছি। করোনার প্রথম দফায় অভ্যন্তরীণ খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপর প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভেও এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, কী পরমাণ ক্ষতি হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে। এটা আমাদের ব্যাপার না, আন্তর্জাতিক মহল যদি বিপদে না পড়ে তাহলে আমরা বিপদে পড়ব না এবং আমরা বিপদটা এক্সচেঞ্জ করতে পারব। জিডিপি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক প্রজেকশন করার ক্ষেত্রে যেসব এজাম্পশন নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে সেগুলো অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সাথে মিল থাকে না, সেজন্য তফাৎ থাকে। এবং তাদের নিয়ম হচ্ছে তারা শুধু দেখবে আমাদের মেথলজি সঠিক কি-না। আমরা যে মেথডে জিডিপি কম্পিউট করি, সেই মেথডটা ঠিক আছে কি-না। যেসসব প্যারামিটারগুলো রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে সলভ করি কি-না, সেগুলো দেখলেই তারা সেটিসফাইড। পরবর্তীতে আমরা যা হিসাবে আনি তারা সেটাকে দেখে চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করে। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি তাদের এবং আমাদের যে তফাৎ সেটা সাময়িক, চূড়ান্তভাবে আমাদের বছর যখন শেষ হবে আমরা সেটা হিসাবে আনব। হিসাবে যেটা আমরা পাবো, সেটা তারাও মেনে নেবে। সময় সময় তারা মেনে নেয়। এই মূহূর্তে আমরা হিসাব চূড়ান্ত করিনি। আমরা প্রজেকশন করি না, চূড়ান্ত করার পর ফিগারটা দেই। তারা মাসে বা বিভিন্ন সময় প্রজেকশন করে, আমরা সেটা করি না।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া