ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদ

ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদ
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নে প্রার্থী আলমগীর সিদ্দিকীর ওপর গত ১৯ মার্চ দুপুরবেলা চিতলমারী উপজেলা চত্বরে অস্ত্র নিয়ে বাদশা সেখ এক থেকে দেড়শ চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিয়ে আক্রমণ করেন। নির্বাচনী কার্যালয় যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিলো সেই মোতাবেক আমি আমার চিতলমারী তথা কলাতলা ইউনিয়নের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন অফিসে প্রস্তুত হই। বাংলাদেশের নির্বাচনী আচরণ বিধিকে সম্মান জানিয়ে আমি এবং আমার ২ জন আইনজীবী ও প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী নিয়ে রিটারিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে সন্ত্রাসী বাদশা, তার আপন ছোটভাই মাদক ব্যবসায়ী সোহেল, ওলি ,রুবেল, রুহুল, রফিক, সাগর, সবুজ, আলামিনসহ ১ থেকে দেড়শ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাকে ও  আইনজীবী এবং প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর ওপর হামলা করে এবং মারাত্মকভাবে আহত করেন। আমাকে জোরপূর্বক মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য মারধর করে এবং দীর্ঘক্ষণ জিম্মি করে রাখেন। আমার প্রাণ প্রিয় চিলতলমারী তথা কলাতলা ইউনিয়নের নির্যাতিত জনগণ খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খুলনা মেডিক্যালে ভর্তি অবস্থান হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার ব্যবস্থা করা হলে চিতলমারী থানা মামলা নেয়নি। চর চিংগড়ী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে বাদশা সেখ। বাদশা শৈশব কৈশোর থেকে ভয়ঙ্কর রুপে আর্বিভাব হতে থাকে। বহুবার তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য জেলে যেতে হয়েছে। তারপরেও তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেমে থাকেনি। তিনি নিজ গ্রামে চর চিংগড়ীতে আলকাস সেখ নামে একজন নিরীহ মানুষের হাত কেটে নিয়েছেন এবং কাউসার সেখ নামে আরেক জনের পা কেটে নিয়েছেন। তারা এখনও পঙ্গুত্ববরণ করে বেঁচে আছেন। বাদশার হামলা থেকে কলাতলা ইউনিয়নের নিরীহ জনগণ বাঁচতে পারে সে ব্যবস্থার আহ্বান জানান।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া