নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ একবছর ধরে বিচারকের পদ শূন্য। এরইমধ্যে এই ট্রাইব্যুনালে জমে গেছে দুই হাজারের বেশি মামলা।গত বছরের ৫ মার্চ বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি হওয়ার পর থেকে বাড়ছে মামলার জট। স্থবির হয়ে পড়েছে বিচারিক কার্যক্রম। এতে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে চলছে এই আদালতের বিচার কার্যক্রম। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ বিচারক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।আদালত সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ সন্দ্বীপ, রাউজান, রাঙ্গুনীয়া ও পটিয়া উপজেলার নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলোর বিচার হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক হাবিবুর রহমান এই আদালতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। বিচারক না থাকায় মামলার শুনানিও হচ্ছে না। ফলে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ভিড় নেই ওই আদালতে। কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচারপ্রার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গত এক বছর ধরে আদালতে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করছি। বিচারক না থাকায় বিচার প্রক্রিয়াও এগোচ্ছে না। চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নজরুল ইসলাম সিন্টু বলেন, গত বছরের ৫ মার্চ চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস বদলি হন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনও বিচারককে পদায়ন করা হয়নি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই আদালতে প্রায় দুই হাজার একশ মামলা জমা হয়েছে। এখানে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিশাল জট তৈরি হয়েছে। বিচারপ্রার্থীরা এখন বিপত্তিতে পড়েছেন। এই আদালতে বিচারক নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে।