নিজস্ব প্রতিবেদক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আজকে এই যে আপনাদেরকে (মুক্তিযোদ্ধাদের) সম্মাননা প্রদানের যে ক্ষুদ্র প্রয়াস করা হয়েছে। সেটার সঙ্গে আরেকটি প্রতিশ্রুতি দেয়ার সময় এসেছে, অসম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের সবাই মিলেই সম্পূর্ণ করতে হবে।’ রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্রচিন্তার যৌথ আয়োজনে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য- আমরা সবসময় ৩০ লাখ শহীদের কথা বলি কিন্তু সেই তালিকাটি কোথায়, সেই তালিকা আছে ভারতের কাছে। সেই তালিকা ভারত দেয় না কেননা সেটা প্রশ্ন তুলবে এত মানুষ মারা গেলে কেন? তিনি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বলেন, আমরা স্বল্প সময়ে এই কাজ (আজকের অনুষ্ঠান) করেছি, হয়ত ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে। কিন্তু আমরা মনের দিক থেকে আপনাদের সঙ্গেই আছি। আমরা আরও বড় কিছু করতে চাই, হয়ত ডিসেম্বরে। তখন এই ভুল-ভ্রান্তি থাকবে না।
সম্মাননা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ বলেন, খুবই ভালো লাগছে আজ। এখন তো আমাদের সম্মাননা জানানোর দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমাদেরও বয়স হয়ে গেছে। তবে আমি বলবো, শুধু ক্রেস্ট প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের যে আকাক্সক্ষা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ সরে যাচ্ছে। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। তবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত হবে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম খান, আবুল হোসাইন, কে এম মাহবুবুল আলম, আব্দুল্লাহীল সাফী, মকবুল হোসেন সন্টু, হাবিবুর রহমানসহ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতা ফরিদ উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্রচিন্তার আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এ সময় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর উপস্থিত ছিলেন।