উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ১২ বছরের নিরন্তর পরিশ্রমের ফসল: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ১২ বছরের নিরন্তর পরিশ্রমের ফসল: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক; স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণকে একটি ঐতিহাসিক গর্বের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১২ বছরের সরকার পরিচালনায় নিরন্তর পরিশ্রম এবং পরিকল্পনার ফসল হচ্ছে আমাদের আজকের এই অর্জন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের যে অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, তা আমাদের বিগত ১২ বছরের নিরলস পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার ফসল। দেশের মানুষই এসব করেছেন। আমরা সরকারে থেকে শুধু নীতি-সহায়তা দিয়ে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাংবাদিকরা পিএমও থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। জাতির পিতার ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা- এই তিনটি সূচকের ভিত্তিতে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদন্ডই খুব ভালোভাবে পূরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ পুনরায় সকল মানদন্ড অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পূরণের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করলো। তিনি বলেন, জাতিসংঘের পর্যালোচনায় ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের মানদন্ড নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার। ঐ বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। আর বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদন্ডের প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদন্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫ দশমিক ৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদন্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ঐ সময়ে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭। শেখ হাসিনা বলেন, এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। তিনি এ সময় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরে বলেন, ২০০৮-০৯ বছরে জিডিপি’র আকার ছিল মাত্র ১০৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ সালে তা ৩৩০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, এই ১২ বছরে সরকারি ব্যয় ৪ দশমিক ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ হাজার ৯৬০ কোটি থেকে ২০১৯-২০ বছরে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৮-০৯ বছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ যেখানে ছিল ১৫ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮-১৯ বছরে তা ৪০ দশমিক পাঁচ-চার বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৮-০৯ বছরের ৭ দশমিক চার-সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৪ দশমিক শূন্য-তিন বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২০ দশমিক ৫ ভাগ এবং হত-দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশে। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য় এবং মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯-১০ বছরের ৫,২৭১ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের দেশ পরিচালনায় মানুষের গড় আয়ু ২০০৯-১০ বছরের ৬৯ দশমিক ছয়-এক বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশামক ৬ বছর। ২০০৯-১০ বছরের তুলনায় ৫-বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার অর্ধেক কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ২৮। মাতৃমৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে লাখে ১৬৫ জনে যা ২০০৯-১০-এ ছিল ২৮০ জনে।
এদিকে লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪ এলে তখন সিদ্ধান্ত নেব, কী করব। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার মান ধরে রাখতে হবে। এজন্য আমাদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমার মনে হয়, এই কথার মধ্যে সব উত্তর আছে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করবে। এই অর্জনকে যদি ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রয়োজনীয় সূচকগুলো ধরে রাখতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে যা যা করা দরকার, আমি করতে প্রস্তুত। আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশে এমন মানুষ ছিল, যাদের কোনো আশা-ভরসা নেই, হাত পেতে চলতে হয়। তাদের জন্য আমরা ঠিকানার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুজিববর্ষে এটিই সবচেয়ে বড় কাজ। ওই ঠিকানাই তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে যুক্তি দেখান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল জগতে বাংলাদেশে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এই আইন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে। যেন শিশু থেকে শুরু করে যুবক থেকে শুরু করে কেউ যেন বিপথে যেতে না পারে বা কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ অথবা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত হতে না পারে। এমন কোনো কাজ যেন না করে যেটা দেশের জন্য ক্ষতি হয়, দেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়। সেজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্তভাবে অপরিহার্য। এই আইনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচনা যারা করেছে, তারা করবেই। কারা সব থেকে বেশি সমালোচনা করছে? তারা কি বাস্তব কথাটা একবার উপলব্ধি করছে? তারা তো তা করছে না। আমার বয়স ৭৫ বছর। স্কুল জীবন থেকে রাস্তায় নামি। ৬২ সাল থেকে পথে পথে মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে। কারও নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, কারও মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্রে করে একটা অসেন্তোষ সৃষ্টি করাও কাম্য নয়। এই প্রসঙ্গে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সে রকম ঘটনা তো আর ঘটেনি। যারা সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের সাথেও তো অনেকেই ঘাঁটছাড়া বেঁধেছিল। তবে কারও মৃত্যু কাম্য নয়। কেউ অসুস্থ হলে মারা গেলে কী করার আছে। আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সতর্কবার্তা থাকবে কি না? উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, আইন তো আপন গতিতে চলে। আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। কোনটা আপনার কাছে অপপ্রয়োগ, কোনটা অপপ্রয়োগ না, এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কিন্তু আমি তো মনে করি আইন নিজের গতিতে চলছে এবং চলবে। যদি কেউ অপরাধ না করে তার বিচারে শাস্তি হবে না। কিন্তু আদৌ অপরাধ হচ্ছে কি না, কিংবা এমন কোনো কাজ করছে কি না, যেটা দেশের ক্ষতি হচ্ছে, জনগণের ক্ষতি হচ্ছে, সে কাজ থেকে বিরত করার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। সংবাদ সম্মেলনে ‘আজকে একটা শুভ দিন’ উল্লেখ করে এ বিষয়ে বেশি কিছু আর বলতে চাননি প্রধানমন্ত্রী।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদন নিয়ে আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নে শেখ হাসিনা শুরুতেই বলেন, তার কিছু বলার নেই। আমার কোনো প্রতিক্রিয়াও নাই, কিছু বলারও নাই। একটা চ্যানেলে কী বলছে না বলছে, সেটা দেশের মানুষ বিচার করবে। কতটুকু মিথ্যা, কতটা বানোয়াট, তারা বিচার করবে। আল জাজিরার প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে অতীতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোলাচালান মামলা এমনি ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যামামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পরিবার যুক্ত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার এড়াতে ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির কথাও বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধাপরাধ, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার বিচারের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের বিচার হয়েছে, তারা-তাদের পরিবার কি চুপ করে বসে থাকবে? তাদেরও কিছু ইন্ধন আছে। সেই সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা অদ্ভুত কিছু মিথস্ক্রিয়া দেখা যায়। আল্ট্রা লেফট-আল্ট্র রাইট মাঝে মধ্যে এক হয়ে যায়! বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা চায় নাই, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। যারা এই দেশটাকে অস্ত্রো চোরাকারবারি, ড্রাগ চোরাকারবারি, দুর্নীতির একটা আখড়ায় পরিণত করেছে তারা বাংলাদেশের উন্নতিটা মানবে কিভাবে বলেন। তারা বদনাম করার চেষ্?টা করছে। কোন চ্যানেল কী বলল না বলল, সেটা শুনে তো আমার রাজনীতি না। দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, সেটাই আমার রাজনীতি। যারা বলতে থাকছে বলতে থাকুক। বলতে থাকাই তো তাদের কাজ, বলেন তিনি।
গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া