ঢাকা: নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার মারা গেছেন। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই।মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা ম. শেফায়েত হোসেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কিবরিয়া জব্বারের মুত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।কিবরিয়া জব্বার ১৯৫৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চরচারতলা গ্রামের নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত খালিয়াজুরি আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবা আবদুল জব্বারের সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে কিবরিয়া জব্বার নিজেকে গত ২২ বছর খালিয়াজুরির আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্যমনি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের দুই দুই বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকার মূলধারার রাজনীতির সুত্রে বাবা মরহুম আবদুল জব্বারের পারিবারিক বন্ধু বঙ্গবন্ধু সরকারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আবদুল মোমেন এবং পরবর্তিতে সংসদ সদস্য রেবেকা মুমিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ট জন হিসেবে খালিয়াজুরি উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এক নক্ষত্র হিসেবে কিবরিয়া জব্বারের আবির্ভাব ছিল স্থানীয় মানুষের অতি প্রিয় আপনজন হিসেবে। এ পরিবারের হাত ধরেই পশ্চাৎপদতা থেকে খালিয়াজুরিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।কিবরিয়া জব্বার নটরডেম থেকে স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে নিজেকে ঐতিহ্যবাহী জব্বার পরিবারের যোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসূরি গোলাম কিবরিয়া জব্বার এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।
বগুড়া প্রতিনিধি:: বগুড়ায় জেলা কারাগারে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন মারা গেছেন। তিনি সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । শহিদুল ইসলাম রতন শহরের গোদারপাড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এবং বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা কারাগারের সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, শহিদুল ইসলাম রতন আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা ছিল। সম্প্রতি কারাগারের মেডিকেল ওয়ার্ডে রাখা ছিল তাকে। গতকাল বিকেলেও তাকে নেবুলাইজার দেয়া হয়েছিল। পরে রাতে ২ টার দিকে মারা যান তিনি।