টানা তৃতীয় দিনের মত দরপতন পুঁজিবাজারে

টানা তৃতীয় দিনের মত দরপতন পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে টানা তৃতীয় দিনের মত সূচক পতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন ২৮ জানুয়ারি ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। এরপর চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই সূচক কমেছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ১৬০ পয়েন্ট হারিয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক। দীর্ঘ খরার পর চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব দেখা দেয়। সূচক বাড়তে বাড়তে ১৪ জানুয়ারি ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টের ঘরে পৌঁছায়। সে হিসেবে গত ১৩ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ৩৪৫ পয়েন্ট। দরপতনের কারণ জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, অনেকগুলো শেয়ারের দাম অনেকদিন ধরে বেড়েছিল। এখন শেয়ারের মূল্য সংশোধন হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। মোট ৭০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এদিন, সোমবার যা ৭১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা ছিল। বাজার চাঙ্গা হওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ঢাকার পুঁজিবাজারে। পরের ১৩ কার্যদিবসে তা এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। আহমেদ রশিদ লালী বলেন, লেনদেন কমেছে তিন কারণে। প্রথমত নতুন আইপিও, দ্বিতীয়ত শেয়ারের দাম কমে যাওয়া এবং তৃতীয়ত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ না হওয়া। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “একের পর এক আইপিও আসছে। মানুষ আইপিওতে আবেদন করছে। এক আইপিওর টাকা বিনিয়োগকারীদের বিও একাউন্টে ফেরত আসার আগেই আরেক আইপিও চলে আসছে, কিন্তু আগের টাকা আটকে যাচ্ছে। এভাবে কিছু টাকা আটকে গেছে। এছাড়া যখন শেয়ারের দাম কমে যায়, তখন যারা বেশি দামে শেয়ার কিনেছিলেন, তারাও আটকে যান। তখন তারা বিক্রি করতে পারেন না, তাই লেনদেনও কমে যায়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, এখন সবাই খুব দ্রুত রিটার্ন চায়। শেয়ারের দাম কছুটা বাড়লেই শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ডিএসইতে গতকাল মঙ্গলবার ৩৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ৯০টির দর বেড়েছে, ১৪৭টির কমেছে এবং ১১৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ৯৯ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৬১ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ১৯৭ পয়েন্ট হয়েছে। সিএসইতে বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ২৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ছিল। এ বাজারে লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ৭১টির দর বেড়েছে, ১০৫টির কমেছে এবং ৬৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

ফরিদপুরে ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল