ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করছে। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাতেও সামান্য বৃষ্টি হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বৃষ্টির আগ মুহূর্তে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা দুই-একদিনের মধ্যে সামান্য কমে যাবে। ঢাকার তাপমাত্রাও কমে যাবে, তা ১০ ডিগ্রির ঘরে আসতে পারে।তিনি বলেন, কুয়াশার চাদরে প্রায় সারাদেশ আবৃত। পাশাপাশি আকাশের মেঘমালা সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে আসায় বাধা সৃষ্টি করছে। আর তার সাথে কুয়াশা এবং বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকার কারণে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে।এই বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে গিয়ে আবারও একটি শৈত্যপ্রবাহ আসছে জানিয়ে মল্লিক বলেন, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে তা শুরু হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। ওই সময় থেকে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাবে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পরে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সীতাকুণ্ডে রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ঢাকায় ১৬ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ১৪, চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ১৪, রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৯, রংপুরে ১৩ দশমিক ৬, খুলনায় ১৬ দশমিক ৩, এবং বরিশালে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।