বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট : প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট : প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২৮০০ মেগাওয়াট এবং নবায়নযোগ্য জ¦ালানি থেকে ৩৮২ মেগাওয়াট। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য আলী আজমের (ভোলা-২) প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যত চাহিদা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনাসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে মোট ১৪ হাজার ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। তিনি আরও জানান, মোট ২ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। মোট ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২২ হতে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। মোট ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে, যা ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারত ও নেপাল থেকে ১ হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২২ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে শুরু হবে।
সরকারের গ্যাস বিল বকেয়া ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি: বিদ্যুৎ, জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির বর্তমানে বকেয়া গ্যাস বিলের পরিমাণ নয় হাজার ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। সংসদে উপস্থাপিত প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বকেয়া তিতাসের। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ ছয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির বকেয়া ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ, পশ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জ¦ালানী প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থ বছরে সিস্টেম প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এলেও আবার বেড়েছে। ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে তিতাসের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ সিস্টেম লস হয়। প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ শতাংশ সিস্টেম লস হয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন