অপপ্রচার রোধে কঠোর মনোভাবে সরকার

অপপ্রচার রোধে কঠোর মনোভাবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক ; দেশের বিরুদ্ধে যেকোনও ধরনের অপপ্রচার, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত মিথ্যা মন্তব্য ঠেকানোর বিষয়ে কঠোর মনোভাব নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে আল কায়েদার উপস্থিতি’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশি দূতাবাসগুলোকে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনও ‘কুটিল বিবৃতি’ না দিতে সতর্ককরেন। অপপ্রচার প্রতিরোধের জন্য সরকার কী চিন্তা করছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি দুইভাবে করা সম্ভব। প্রথমত, কেউ কোনও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করলে সেটির প্রতিবাদ করা। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র সবজায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া যাতে করে অন্যরা দেশটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখে। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্য কেউ বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা মন্তব্য করলে আমরা সবসময়ে প্রতিবাদ করেছি। এর আগেও অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা মন্তব্য করেছে, যার প্রতিবাদ সঙ্গে সঙ্গে করাহয়েছে। প্রকৃত চিত্র সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছুটা দুর্বলতা আছে। সেজন্য আমরা পাবলিক ডিপ্লোমেসি আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছি। পাবলিক ডিপ্লোমেসি দিয়ে কী অর্জন করতে চায় সরকার- জানতে চাইলে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, যে কোনও ধরনের গঠনমূলক সমালোচনার জন্য আমরা উন্মুক্ত। একইসঙ্গে আমরা আমাদের আর্থ-সামাজিক বা অন্যান্য অর্জনকে সামনে নিয়েআসতে চাই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জন, যেমন শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুমদ্র সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি, পৃথিবীর বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সাফল্য, অভিবাসনের ক্ষেত্রে গ্লোবাল কমপ্যাক্টে বাংলাদেশের অবদান, তৈরিপোশাক শিল্পের ইতিবাচক রূপান্তর বিশেষ করে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে, কর্মক্ষম ও সহিষ্ণু সমাজ যা সব প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকে- এধরনের ইতিবাচক দিকগুলি আরও বেশি করে প্রচার করা দরকার বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা। তবে তিনি স্বীকার করেন, সব দেশের মতো বাংলাদেশেও সমস্যা আছে এবং এটি কেউ অস্বীকার করে না। তবে শুধু নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হলে দেশের ভাবমূর্তি ভালো হবে না। এ বিষয়ে মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কোনও ধরনের অপপ্রচার হলে সেটিকে প্রথম অবস্থায় নিষ্পত্তি করে দেওয়া ভালো। কারণ দেশের ভাবমূর্তির জন্য এটি জরুরি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন