নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভাস্কর্যবিরোধীরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। ওরা অন্য কিছু ইঙ্গিত করতে চায়। তারা জানে সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই ভাস্কর্যবিরোধীরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য পথ খুঁজছে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ। এ সময় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই বিতরণ করা হয়। সভায় মোজাম্মেল হক বলেন, যারা আজ ভাস্কর্য ভাঙতে চায়, তারা কারা? তারা খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে চারজন খলিফার মধ্যে তিনজন খলিফাকে হত্যা করেছিল। বলেছিল যে, ইসলাম রক্ষার্থে। আসলে ইসলাম রক্ষার জন্য নয়, তারা খলিফাদের হত্যা করেছিল খেলাফত দখল করার জন্য। অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার জন্য। হাওয়া ভবনের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ওরা শাসনের নামে হাওয়া ভবন তৈরি করে লুটপাট করে খেয়েছে। এমনকি জনগণের সম্পদ লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি, এতিমের টাকাও লুটপাট করেছে। এ সময় তিনি পৃথিবীর মধ্যে ১৯টি মুসলিম দেশ রয়েছে যার মধ্যে ১৮টি দেশে ভাস্কর্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। সভায় ‘বঙ্গবন্ধু ১০ই জানুয়ারি যদি ফিরে না আসতেন’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মাহামুদুর রহমান। সভা থেকে পরিষদের নেতারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়ে বক্তব্য যারা দিয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানান। পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনির খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আখতার হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. এইচ এম আনোয়ারা বেগমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।