সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১৬৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৪ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৩টি, জিন-এক্সপার্ট ১৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৩৪৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার নয় দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও নারী নয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন রয়েছেন। বরিশাল ও সিলেট বিভাগে তিনজন করে ছয়জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে একজন করে তিনজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন। বাড়িতে দুইজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪০১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ৬৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৩ হাজার ১৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৫৫ জন।