তাপমাত্রা নিম্নগামী হয়ে পড়ায় বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে পড়ে বাজার ও রাস্তা-ঘাট। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমজীবী মানুষগুলো পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
দিনের বেলা খুব সামান্য সময়ের জন্য সুর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রার খুব একটা তারতম্য হচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় রাত যত গভীর হয় তাপমাত্রা ততই নিম্নগামী হয়ে পড়ে। এদিকে গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেক মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রোববার তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কয়েকদিন নিম্নগামী হওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ইতোমধ্যেই জেলার ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন এবং ৩টি পৌরসভায় ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৭ লাখ করে ৬৩ লাখ টাকা ও ৯ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ জেলায় চরাঞ্চলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে আরো ব্যাপক চাহিদা দিয়ে বরাদ্দ চেয়েছি। আশাকরছি শিগগিরাই চলে আসবে।