ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডেনমার্ক আবার সম্পূর্ণ লকডাউন করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের মতো ডেনমার্কেও বসবাসরত স্থানীয় এবং প্রবাসীরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন।
ডেনমার্কে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বাড়ায় ইতোমধ্যে লকডাউনের অংশ হিসেবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, বড় বড় শপিং মল, শরীর চর্চা কেন্দ্র এবং অপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকাটপাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দোকানের পাশাপাশি ওষুধের দোকান ও জরুরি সেবার জন্যে সরকারি হাসপাতাল এবং ডাক্তারদের ক্লিনিক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন ড্যানিশ সরকার এর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাগনুস হেয়নিক।
বেশ কিছুদিন ধরে ডেনমার্কে সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক। যদি কেউ মুখে মাস্ক পরিধান ছাড়া পাবলিক যানবাহনে চলাফেরা করে তবে তাকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রেখে একটি আইন পাস করা হয়েছে।
সাধারণ জনগণের অতিমাত্রায় সতর্ক থাকার পরও করোনা পরিস্থিতি অবনতির ফলে চিন্তিত ডেনমার্কের থিঙ্কট্যাঙ্ক। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডিকসন ডেনমার্ক এর রানী মার্গ্রেথে ২ এর কাছে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরামর্শ নিয়েছেন। করোনার ব্যাপক বিস্তার রোধে ডেনিশ সরকার দ্বিতীয় দফায় লকডাউন এর মতো কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ডেনমার্কে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই। দেশটিতে একদিনে আক্রান্তের রেকর্ড ৪৫০৮ জন, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১০ জনের মতো।