মধ্য আমেরিকায় ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসে নিহত ৩০

মধ্য আমেরিকায় ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসে নিহত ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্য আমেরিকায় আঘাত হানা অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন আইয়োডার তাণ্ডবের পর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে দেখা দেওয়া বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিভিন্ন এলাকাগুলোতে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে থাকায় আরও মৃত্যুর খবর আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার রাতে নিকারাগুয়ার রেকর্ডে সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন আইয়োডা উপকূলে আঘাত হানে, এ সময় ৫ মাত্রার হারিকেনের বেগে ঝড় বয়ে যায় ও জলোচ্ছ্বাসে দেশটির উপকূলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যায়। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আঘাত হানা আরেকটি শক্তিশালী হারিকেন ‘এটা’-র ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই এলাকটি আরেকটি ঝড়ের তাণ্ডবের মুখে পড়ে। দুর্যোগে পড়া নিকারাগুয়ার প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার ও হন্ডুরাসের ৭০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যেতে বাধ্য হয়। বুধবার এল সালভাদরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় আইয়োডা শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু এর মধ্যেই হারিকেনটির প্রভাবে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিতে নিকারাগুয়া ও হন্ডুরাসের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যায়। ঝড়ের প্রভাবে কলম্বিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত প্রায় পুরো মধ্য আমেরিকাজুড়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়। উপচে পড়া নদী ও ভূমিধসে বহু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি হন্ডুরাসের শিল্প শহর সান পেদ্রো সুলাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরটির বিমানবন্দর পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে, উড়োজাহাজে ওঠার জেটওয়েগুলোকে নদীতে ভাসমান জেটির মত লাগছিল আর ঘোলা পানির মধ্যে আশপাশের গাছের মাথাগুলো অল্প একটু বের হয়ে ছিল। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নিকারাগুয়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই দেশটিতে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপচে পড়া একটি নদীর প্রবল স্রোতে একজন মা তার চার সন্তানসহ ভেসে গেছেন। পরে নিকারাগুয়ার গণমাধ্যম জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভূমিধসে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার সীমান্তের কাছে হন্ডুরাসের একটি গ্রামে তিনটি শিশুসহ এক পরিবারের পাঁচ জন ভূমিধসে চাপা পড়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পানামা ও এল সালভাদরে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ের তাণ্ডবে তাদের ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপগুলোতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আইয়োডা বৃহস্পতিবার আরও দুর্বল হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে চলে যাওয়ার আগে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলে আরও বন্যা ও ভূমিধসের কারণ হতে পারে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন