কুষ্টিয়ার মিরপুরের সেই মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের তার প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে ওই মাদ্রাসা সুপার ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, নির্যাতিতা মেয়েটি মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। গত রবিবার ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করেন তিনি। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন। তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠী ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সোমবার মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতে পুলিশ আব্দুল কাদেরকে পোড়াদহ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে হাজির করা হলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কাদের তার জবানবন্দিতে মেয়েটি দফায় দফায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেস্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।