নারায়ণগঞ্জে নানীর বাড়িতে বেড়াতে আসা ফুপাতো বোনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে মামাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। কোমল পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তা নানী ও ফুপাতো বোনকে পান করানোর পর এই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মামাতো ভাইয়ের নাম মো. জাহিদ (২১)।
এই ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা আজ সোমবার দুপুরে আদালতে দেন ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন সেই জবানবন্দি ২২ ধারায় রেকর্ড করেন।
অভিযুক্ত জাহিদ বন্দরের নবীগঞ্জ বড়বাড়ি এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন জাহিদের ছোট ভাই আসিফ ও তাদের খালাতো ভাই রোহান।
করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় নানীর বাড়িতে বেড়াতে যায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় মামাতো ভাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
এরপর গত ৪ অক্টোবর ওই তিনজনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে একটি মামলা করেন মেয়েটির মা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘অনেক দিন ধরেই আসামি জাহিদ আমার মেয়েকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর আমার মা ও আমার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ মেশানো …(কোমল পানীয়) পান করায় তিনজন। অচেতন হয়ে পড়তেই পাশের রুমে নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহিদ। আর আসিফ ও রোহান আমার মেয়ের হাত ধরে রাখে। এই সময় আমার মেয়ের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী রমজান ও রহমান নামের দুজন লোক এগিয়ে এলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোদাচ্ছের হোসেন জানান, মামলা গ্রহণ করে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের দুজন মেয়েটির মামাতো ভাই। আরেকজন মামাতো ভাইয়ের বন্ধু। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।