বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে যমুনার পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে উভয় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শত শত হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নতুন করে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যমুনার পানি সামান্য কমলেও বাঙালি নদীর পানি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঙালি নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকার লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চতুর্থ দফায় বন্যায় কৃষকদের আমন ধান শাকসবজি ও চরাঞ্চলের কৃষকের আউশ, মরিচ রোপা আমন, বীজতলা, শাক-সবজি ও গাইঞ্জা ধানের আবাদ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুনভাবে বন্যায় সারিয়াকান্দি পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, পারতিত পরল, চান্দিনা নোয়ারপারা, নিজবরুরবাড়ী, ছাগলধরা, ডোমকান্দি,
ক্ষতিগ্রস্ত বাসহাটা, ভেলাবাড়ী, হাটশেরপুর ইউপির হাসনাপারা, শাহানবান্দা এলাকা। এ ছাড়া চর এলাকার বোহাইল, কর্নিবাড়ী, কাজলা, চালুয়াবাড়ী, হাট-শেরপুর ও সদর ইউনিয়নের নিচু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কৃষকদের শত শত হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।