ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের অ্যাপেল থাই স্পা সেন্টার ও ছোঁয়া বিউটি পার্লার থেকে গ্রেফতার ২৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ইমন আহম্মেদ, শাকিল আহাম্মেদ, রিংন্টু ছিরাং, জিয়াউল হাসান, কামরুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রেজওয়ানুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, রায়হান আলম ব্যাপারী, রিয়া আক্তার, মাহি, সিমা, সামিয়া আক্তার, জুলি সাংমা, স্মৃতি, রিনা আক্তার, সুমি, হামিদা, মনি, শারমিন, পাপড়ি, তিশা, মিষ্টি আক্তার, সুমা ও সালমা আক্তার অরিন।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে করা মামলায় সোমবার তাদের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মোফাজ্জল হোসেন। এসময় ইমন আহম্মেদ ও শাকিল আহাম্মেদের দু’দিন করে রিমান্ড ও অপর ২৬ জনকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন তিনি।
অপরদিকে রিমান্ড চাওয়া দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বাকি ২৬ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা শুধু জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ইমন ও শাকিলকে একদিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। অপর ২৬ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রোববার রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের একটি স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে ২৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী রয়েছেন। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, এই স্পা সেন্টারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের নারীদের একত্রিত করে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা, যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
তিনি জানান, স্পার নামে এই সেন্টারকে অনৈতিক কাজে কাজে ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল তারা। যা যুব সমাজকে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেছেন গুলশান থানার এসআই মো. ওলিয়ার রহমান।