পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের লাহোর-শিয়ালকোট মোটরওয়েতে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ১২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনার পর পাকিস্তান সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ এবং নিন্দা জানিয়েছেন।
১২ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র মুসারাত চীমা এক টুইটে বলেন, ‘বেদনাদায়ক মোটরওয়ে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে নিবিড় ভাবে কাজ করছে পাঞ্জাব পুলিশ এবং এর মিত্র বিভাগগুলো। এখন পর্যন্ত ১২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তল্লাশি চলছে। ’
ডন নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) গুজারপুরা এলাকায় এক নারীকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে দুই ‘ডাকাত’। ওই নারীর গাড়িতে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় তিনি মোটরওয়েতে দাঁড়িয়ে সাহায্যের অপেক্ষা করছিলেন।
এ ঘটনার পর সমাজের সব স্তরে নিন্দা শুরু হলে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নারীদের সুরক্ষা সরকারের সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার এবং দায়িত্ব। কোনো সভ্য সমাজে এ ধরনের বর্বরতা ও অসভ্যতা মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের বিপরীত এবং আমাদের সমাজের ওপর একটি কুৎসিত দাগ। ’
অন্যদিকে, মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরীন মাজারি বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় ‘তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশের কাছে তাদের কার্যক্রমের প্রতিবেদন চেয়েছে। ’
অন্যদিকে, ঘটনাটি ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট এবং বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাহ শরিফ। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সমাজ হিসেবে আমাদের নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমরা অন্তত ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াতে পারি এবং সমস্যাটি চিহ্নিত করতে পারি। আরেকটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সম্মিলিত এবং বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, চিন্তা-ভাবনাহীন প্রতিক্রিয়া নয়। ’
ওই ঘটনার পর পুলিশ আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) উমার শেখ বলেন, ‘ভুক্তভোগী তার যাত্রা শুরুর আগে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনে ব্যর্থ হয়েছে। ’ তার এ মন্তব্য সমালোচনার ঝড় তোলে।