মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা নদীর কয়েক দফা ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। শুক্রবার রাতে তিন নম্বর রো রো ফেরিঘাটের কাছে ভাঙন শুরু হয়।
দীর্ঘসময় ধরে অব্যাহত থাকা ভাঙনে একটি খাবারের দোকান ও কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে রো রো ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখ হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন বাড়ির মালামাল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।
এর আগে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত চলা ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে আছে কয়েকটি স্থাপনাও।
অন্যদিকে নাব্যতা সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। ১৫টি ফেরির মধ্যে চলছে ৫টি ছোট ফেরি। সচল আছে দুইটি ফেরিঘাট।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারিফ আহম্মেদ জানান, ভাঙনের কবলে প্রায় ১০ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার টার্গেট রয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে একটি খাবারের দোকান, যাত্রী বিশ্রামাগার, টয়লেট কমপ্লেক্স, বিআইডব্লিউটিএর দোকান।
তিনি আরো জানান, সকাল থেকে ভাঙনের তীব্রতা কমে গেছে। ফের যদি ভাঙন শুরু হয় তাহলে শিমুলিয়া ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গাড়ি রাখার স্থানের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে ভাঙনকবলিত স্থান।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে রো রো ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ ঘাটটি চালু হচ্ছে না। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ৫টি ছোট ফেরি চলাচল করছে। লৌহজং চ্যানেলে নাব্যতা সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। শিমুলিয়া ঘাটে ৫০টি যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীর চাপ পড়েছে বেশি।
শিমুলিয়া গ্রামের হযরত আলী শেখ জানান, প্রায় ২০টির মতো বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ৭-৮ বছর ধরে এখানে বসবাস করছিল পরিবারগুলো। এর আগেও কয়েক দফা ভাঙন হয়েছিল এই গ্রামে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই তিন নম্বর রো রো ফেরিঘাটটি ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যায়। ১২ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়। এরপর ৫ আগস্ট বিলীন হয়ে যায় শিমুলিয়ার চার নম্বর ফেরিঘাট।