বাংলাদেশে গুমে’র সংস্কৃতি চালু হয়েছে: রব

বাংলাদেশে গুমে’র সংস্কৃতি চালু হয়েছে: রব

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতেই গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করে গুম প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর আবেদন জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে গুম করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে—এই গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকে প্রশ্রয় দিলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আ স ম রব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গুমের ঘটনা বন্ধ করতে হেফাজতে থাকা ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের নিরাপদে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সরকারের সমালোচকদের নিশানা করে অব্যাহতভাবে গুমের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে।

বিবৃতিতে রব বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলো ভয়াবহ সংকটে নিপতিত হচ্ছে। মানসিক ও অর্থসংকটে পরিবারগুলো দিশেহারা। আইনগত জটিলতার কারণে সম্পদ থেকেও তারা সম্পদের ব্যবহার করতে পারছে না। স্বজনকে ফিরে পেতে শিশুরা আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র নিষ্পাপ শিশুদের হাহাকারে কোন সাড়া দিচ্ছে না। অথচ সরকার সত্যকে বারবার অস্বীকার করে যাচ্ছে। বরং রাষ্ট্র গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে দিনের পর দিন দায়মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে। এ সর্বনাশা নীতি চলতে থাকলে সমাজ ক্রমাগত বর্বরদের দখলে চলে যাবে।

গুমের শিকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের অবিলম্বে খুঁজে বের করার জন্য তিন দফা প্রস্তাবনা পেশ করে রব বলেন, বিচার বিভাগের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করতে হবে। গুম অপহরণের সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন করা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া