দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে প্রতিদিনই লাগামহীনভাবে বাড়ছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। আমদানি বাড়লেও কমছে না দাম। আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে অতিরিক্ত গরম ও বিভিন্ন রাজ্যে বন্যার কারণে ভারতের আড়তগুলোতে পিয়াজ ও কাঁচামরিচের সরবরাহ কম। সে জন্য দেশের বাজারে চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়লেও স্বাভাবিক হচ্ছে না দাম। অপরদিকে, আমদানি কম ও ভারতে পণ্যগুলো দাম বেশি এমন অজুহাতে দাম বাড়ানোর অভিযোগ পাইকার ও আড়তদারদের।
দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে আমদানিকৃত যেসব কাঁচা মরিচ কেজিতে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন তা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, যে পিয়াজগুলো ৪ দিন আগে বন্দরে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে, সেই পিয়াজ কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে। আর দিনাজপুর শহরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা এবং পিয়াজ ৩২-৩৭ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পণ্যগুলো বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। সে কারণে আমদানির পর দেশীয় বাজারে তার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এরই প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরের আড়ত ও খুচরা বাজারে।
এদিকে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছে কাঁচা মরিচ ও পিয়াজ কিনতে আসা পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গত ৭ কর্মদিবসে ভারতীয় ১৮৭ ট্রাকে ১ হাজার ৩৭৬ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২ কোটি ২৩ হাজার ৭শ টাকা। একই সময়ে ভারতীয় ১৭৮ ট্রাকে ৪ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকাল সোমবার একদিনে ৪৯ ট্রাকে ১ হাজার ৩১১ মেট্রিক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে, যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।