ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর টিকফার ইন্টারসেশন্যাল সভা করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে করোনাকালীন যে সকল মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠানো হলে এ বিষয়ে মার্কিন সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা)’-এর ইন্টারসেশনাল সভা গতকাল (২৫ আগস্ট) রাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউ এস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া ক্রিস উইলসনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
সভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের স্থগিতকৃত জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়- পূর্বে ঘোষিত বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন জিএসপি সুবিধা প্রদান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। পরবর্তী প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করার সুযোগ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ প্রডাক্ট রপ্তানি, করোনাকালে তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল না করা, ভেকসিনসহ অন্যান্য মেডিক্যাল সামগ্রী উৎপাদন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্প কারখানা বাংলাদেশে রিলোকেশন, কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের তৈরি পণ্য সহজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির বিষয়ে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা কামনা করে। বিশেষ করে পোশাক রপ্তানির উপর শুল্ক কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশে ঘোষিত সুযোগ-সুবিধাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা নিরসনে আলোচনা অব্যাহত রাখার পক্ষে মতামত দেয় বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, টিকফার ৬ষ্ঠ সভা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে।