কলকাতা: ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা অব্যাহত। সীমান্ত সমস্যা এখনও শান্ত হয়নি।
এ আবহে চীনা নারিকদের ভারতীয় ভিসা ছাড়পত্রের বিষয়ে আরও কড়া হচ্ছে দিল্লি। বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে চীনাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে।
ঠিক যেমনটা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগে থেকেই এ ধরনের কড়া ব্যবস্থা রয়েছে। এবার সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে চীনাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হচ্ছে ভারতে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিঞ্জপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে যে যেসব চীনা ব্যক্তি বা চীনা সংস্থার অস্তিত্বের সঙ্গে ভারতের উদ্বেগ জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তাদের বা সেই সংস্থার কার্যকলাপ নজরদারিতে রাখতে হবে। এছাড়া তাদের ভিসা দেওয়ার আগে নিরাপত্তার বিষয়টি যাচাই করা হবে।
চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়, চীনা থিংক ট্যাংক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীদের নিয়ে চীন সরকার বিশ্বব্যাপী ‘আউটরিচ সিস্টেম’ তৈরি করেছে। চীনা স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিভিন্ন দেশে এ ‘আউটরিচ সিস্টেম’কে কাজে লাগানো হয়ে থাকে।
এ সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজ হলো অন্য দেশে গিয়ে নীতি প্রণয়নকারী, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন নেতৃত্ব, করপোরেট, শিক্ষাবিদসহ নানান গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা। বহু ক্ষেত্রে এ সিস্টেমের সদস্যরা গুপ্তচরবৃত্তির কাজও করছে।
এ কারণে ভারতের সরকারি শীর্ষস্তর থেকে চীনা সংস্থার সঙ্গে নানা চুক্তি ৩৬০ ডিগ্রি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে উদ্বেগের অন্যতম কারণ হতে পারে চীন থেকে ভারতে ওষুধের উপাদান আমদানির বিষয়টি। বেইজিংয়ের পদক্ষেপে ভারতে ওষুধের ঘাটতি বা মূল্য বৃদ্ধি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা চীন থেকে ৬৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করে থাকে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন। তবে এ আমদানি নির্ভরতা কীভাবে কমানো যায়, তার ওপর কাজ করছে একটি ভারতীয় রিসার্চ গ্রুপ।
তবে এর আগে লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পরই ভারত সরকার টিকটক, ইউসি ব্রাউজারসহ ৫৯টির বেশি চীনা অ্যাপ বাতিল করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, সুরক্ষার স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। এবার ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগেই সব দিক খতিয়ে দেখে নেওয়ার কথা বলা হলো।