হাতিয়ায়  ২৫ গ্রাম প্লাবিত

হাতিয়ায়  ২৫ গ্রাম প্লাবিত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে আটটি ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষেতের পাকা আউশ ধান ও বসতবাড়ী।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, সোনাদিয়া, তমরদ্দি, সুখচর, চরঈশ্বর, নলচিরা, হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নের প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, এবার বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সময়ে জোয়ারের পানিতে এলাকাগুলো সহজে প্লাবিত হয়। এছাড়া নতুন করে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা ও তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে প্রায় ৫০ পরিবারের বসতঘর ভেসে গেছে। এছাড়া অনেকে বেড়ির ওপরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে দেখা যায়।

এদিকে আম্পান পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় সুখচর ইউনিয়নের চর আমানউল্যা, বৌ বাজার, চেয়ারম্যান বাজার। নলচিরা ইউনিয়নের তুপানিয়া, নলচিরা ঘাট এলাকা। চর ঈশ্বর ইউনিয়নের তালুদার গ্রাম, ফরাজী গ্রাম, ৭ নম্বর গ্রাম, মাইচ্চা মার্কেট এলাকা প্লাবিত হয়। এসব এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কামরুল ইসলাম  বলেন, প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে অনেকের বসতবাড়ী, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। অনেকে বসতঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

নলচিরা ঘাটের প্রায় ২০টি দোকান ঘরে পানি ডুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে এবং স্রোতের টানে ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পাঁচটি দোকান।

নিঝুম দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় চারদিক থেকে জোয়ারের পানি উঠে ৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ এলাকা। এতে ঘেরের মাছ ভেসে যায়, আবাদি ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও বনের মধ্যে বসবাস করা হরিণের দল লোকালয়ে চলে এসেছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া