করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকা চিকিৎসকের নাম ও সই জাল করে রিপোর্ট দেওয়ায় বগুড়ার ‘ডক্টরস ক্লিনিক’কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া এলাকায় অবস্থিত ডক্টরস ক্লিনিকের ২নম্বর ইউনিটে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ওই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন এবং রোমানা রিয়াজ।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন সাংবাদিকদের জানান, ডক্টরস ক্লিনিকে দুইজন প্যাথলজিস্ট ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন গত ১ আগস্ট থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। অপরজন ডা. এ কে এম রওনক হোসেন চৌধুরী এতদিন একাই কাজ করে আসছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ আগস্ট থেকে তিনিও হোম আইসোলেশনে আছেন। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও প্যাথলজি বিভাগের সব রিপোর্টে তার নাম ও সই ব্যবহার করা হচ্ছিল। যা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা। এ অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনের ৫২ ধারায় ডক্টরস ক্লিনিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. ফারজানুল ইসলাম নির্ঝর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।