পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে: রেলমন্ত্রী 

পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে: রেলমন্ত্রী 

 

মাদারীপুর: ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচরে পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধবার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসেই পদ্মাসেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেললাইন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে। পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ বরিশাল-কুয়াকাটা-পায়রাবন্দর পর্যন্ত নেওয়া হবে। পদ্মাসেতুর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য যোগাযোগের এক অভূতপূর্ব দিগন্ত উন্মোচন হবে। রাজধানীর সঙ্গে অতিদ্রুত যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

পদ্মাসেতুর এ রেলসংযোগ ও সড়ক পথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অত্যাধুনিক রেলস্টেশন হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। এর মধ্য দিয়ে এ এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একমাত্র তার কারণেই এত বড় বড় কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ জন ব্যক্তির মধ্যে এক কোটি ১২ লাখ টাকার পুনর্বাসন সুবিধার চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান।

প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সিএসসির প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, ডরপ চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান, শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিমসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ডরপ’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে (ফেইজ-২) ভাঙ্গা থেকে যশোর ৮২ কিলোমিটার রেলপথে ৫১১৮টি পরিবারের পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে। ‘ডরপ’ প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপসহ জেলা প্রশাসনের দেওয়া নগদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং জীবিকায়ন প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দেড় বছর ধরে অনুপস্থিত নীলফামারীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুই চিকিৎসক

ঋণের প্রলোভনে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভূঞাপুর থানায় গোপালপুরের ৬ জন আটক