ভোলা: ভোলায় মেঘনার পানি কমতে শুরু করেছে, তবে এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এতে পাঁচ দিন ধরে প্লাবিত রয়েছে নিম্নাঞ্চল।পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নদীর উপকূলবর্তী হাজারো মানুষ।উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও আমবশ্যার প্রভাবে পানি বেড়ে বাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে পানি কমতে শুরু করেছে।বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে জোয়ারের পানিতে ভোলা জেলা সদর, মনপুরা, চরফ্যাশন, তজুমদ্দিনে ও লালমোহন উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রাম এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ফসলের ক্ষেত, রাস্ত-ঘাট, বসতভিটা ও পুকুর ঘেরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষ।ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাকীর্তি ও কালাসুরা গ্রামের বাঁধের বাইরের দুই গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, ঘের, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সব মানুষ।পানিবন্দি সালেহা বেগম বলেন, জোয়ার এলেই পানিতে তলিয়ে যায় ঘর, পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। ঘরের আসবাপপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আবু সায়েদ ও মহিউদ্দিন বলেন, দুটি গ্রামের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে আছে। প্রতিদিন বিকেল ও রাতে পানি উঠে। জোয়ার ভাটায় দিন কাটছে আমাদের।ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-১ (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মন্নান খান জানান, দুপুরের পর থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় পানি কমতে শুরু করেছে।