নাব্যতা সংকটে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মায় প্রবল স্রোত ও নাব্যতা সংকটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে দুই পাড়ে তীব্র ভোগান্তি নিয়ে নদী পার হতে হয় যানবাহন চালকদের।
বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুইটি ফেরি বাড়ানোর পর শনিবার থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যানবাহন চালকদের স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্তে যানবাহন চালকদের তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘাট এলাকায় বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে।
শনিবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্ত ঘুরে দেখা যায়, গোয়ালন্দ মোড়ে তেমন যানবাহন দেখা নেই। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত যানবাহনে সারি ছিল না। তবে পাটুরিয়া প্রান্তের বাসের চেয়ে ট্রাকের চাপ বেশি রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটে পারাপারের জন্য প্রায় চার শতাধিক যানবাহন অপেক্ষায় ছিল।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন শেখ বলেন, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে এ রুটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পায়। পুলিশ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মহাসড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিক বিবেচনা করে।
তিনি দাবি করেন, গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গাড়ির চাহিদা অনুয়ায়ী গোয়ালন্দ মোড় থেকে গাড়িগুলো ছাড়ার কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে ভোগান্তি কম হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের এ জি এম জিল্লুর রহমান জানান, এ রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে পাটুরিয়া প্রান্তে নাব্যতা সংকটের কারণে ঘাট এলাকায় ফেরি আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া নদীতে প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১১টি রো-রো ফেরিসহ মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করার কারণে ভোগান্তি কমেছে।
তিনি আরও বলেন, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটটি সচল হলে এ রুটে যাত্রী ও চালকদের স্বস্তি ফিরে আসবে।