ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির দুর্যোগকালীন সময়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের উদ্যোক্তা ঘোষণার মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ।
একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ৬ মাসের বাড়িভাড়া মওকুফ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানের অনুমতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৯ আগস্ট জারিকৃত পরিপত্র বাতিল এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুল কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়।
শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
জাতীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আহসান সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালনা করে আসছে। সারা বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ হাজারের মতো এ রকম প্রতিষ্ঠান আছে। এতে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষক কর্মচারী নিয়োজিত। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয়। করোনার কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। এরফলে বাড়িভাড়াসহ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় আগাসী ২/৩ মাসের মধ্যে আমাদের শতকরা ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা কোথাও ত্রাণের জন্য হাত পাততে পারছি না। আবার আমাদের এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকগুলোও ঋণ প্রদান করে না। এই মহামারিতে আমাদের আয় রোজগার বন্ধ থাকলেও সংসার খরচ ও বাড়িভাড়া থেমে নেই। এমতাবস্থায় ভরসার সর্বশেষ কেন্দ্রস্থল বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনি যদি আমাদের প্রতি সুনজর না দেন তাহলে আমরা সর্বসান্ত ও নিঃস্ব হয়ে না খেয়ে ধুকে ধুকে মারা যাব।
ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আমরা আপনার সরকারের পাশাপাশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে পরিণত করার জন্য বদ্ধপরিকর। এই দুর্যোগে আমরা আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকতে যদি ৮০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় সেটা হবে বিশ্বে বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যরকম অধ্যায়। শিক্ষকরা জাতির বিবেক, এইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রায় ২ কোটি শিশুকে একাডেমিক পিক্ষা ও ১ কোটি শিশুকে সাংস্কৃতিক শিক্ষা সেবা দান করে আসছে। মহামারি করোনার প্রভাবে এই সেক্টরের সঙ্গে জড়িত সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও পরিচালক আজ অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে।