সমাচার ডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী নেতা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি শুক্রবার সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম, পিলখানা, শাহবাগের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড এবং চব্বিশের গণহত্যার বিচারের দাবি নিয়ে রাজপথে সোচ্চার এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও আওয়ামী গুপ্ত সন্ত্রাসীদের হত্যার টার্গেটে ছিলেন বলে জনসম্মুখে একাধিকবার জানিয়েছিলেন। শুক্রবারের হামলা সেই টার্গেট মিশনেরই শিকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এই কিলিং মিশনে নেমেছে।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন গুলিবিদ্ধ হাদিকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোট ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করা হয়েছে।
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা উসমান হাদি ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করেছে। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি তার অবস্থা খুবই গুরুতর। তিনি অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে আছেন। তার অবস্থা অপরিবর্তিত। আল্লাহর কাছে এই মুহূর্তে দোয়া করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই।”
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি গোপন অডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ এবং “ভারতের” যৌথ উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বরের পর সারাদেশে ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ ভয়ংকর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার বিষয়টি আওয়ামী লীগের একটি অনলাইন কমিউনিটির গোপন টেলিগ্রাম আলোচনার সূত্রে এসেছে।
‘ফেস দা পিপল’-এর হাতে পৌঁছানো এই অডিও বার্তায় একটি রহস্যময় কোড নাম ‘ডট-চীফ!’-এর উল্লেখ শোনা যায়। কথোপকথনে দাবি করা হয়েছে, ৫ আগস্টের আগে যেভাবে স্নাইপার দিয়ে গুপ্তহত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবে নতুন করে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং সারাদেশে বিরোধী পক্ষকে লক্ষ্য করে এই টার্গেট কিলিং চালানো হবে। অডিওটি জনসমক্ষে এসেছে, তবে ‘ফেস দা পিপল’ এর শতভাগ সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
..