যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জ্যাকব ব্লেকের আহত হওয়ার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের বর্ণবিরোধী বিক্ষোভ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অঙ্গরাজ্যটির কোনাশা শহরে এ ঘটনার পর বিক্ষোভ ও সহিংসতায় নিহত হয়েছেন আরও তিন ব্যক্তি, যার মধ্যে একজন ট্রাম্প সমর্থক।
এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনাশা সফর করেন। ব্লেকের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে তিনি বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত ও পুলিশের পাশে দাঁড়ান। উইসকনসিনের ডেমোক্র্যাট গভর্নর টনি এভার্স বারবার তাকে এই সময় কেনোশা আসতে নিষেধ করেছিলেন। টনি এভার্স বলেছিলেন, ট্রাম্প এই সময় কেনোশা সফর করলে উত্তেজনা বাড়বে, পরিস্থিতি খারাপ হবে।
কিন্তু ট্রাম্প সেই অনুরোধে কান না দিয়ে কেনোশায় সফর করেন। সেখানে পুলিশের সাতটি গুলি খেয়ে গুরুতর আহত ব্লেককে তিনি দেখতে যাননি, বরং সেখানে গিয়ে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান এবং ডেমোক্র্যাটদের কড়া সমালোচনা করেন।
গত ২৩ আগস্ট পুলিশের পরপর সাতটি গুলিতে ব্লেকের মেরুদণ্ড কয়েক টুকরো হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার হলেও এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক স্বাভাবিকভাবে হাঁটা চলা করতে পারবেন না। তিনি পঙ্গু হয়ে গেছেন বলে ব্লেকের আইনজীবী বেন ক্রাম্প জানিয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেনোশায় মুখোমুখি ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ ও ট্রাম্পের সমর্থকেরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এই বিভাজনকে আরও বাড়াতে উসকানি দিচ্ছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
কেনোশায় বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার পথে সমর্থকেরা ট্রাম্পকে স্বাগত জানায়। আর বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানায়। ট্রাম্প সোজা চলে গেছেন সেই এলাকায় যেখানে প্রচুর দোকান ভাঙচুর হয়েছে, আগুন ধরানো হয়েছে। তিনি একশ বছর পুরোনো আসবাবপত্রের দোকানের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। সবকিছু দেখে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা মোটেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নমুনা নয়।’
বিক্ষোভের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ট্রাম্প তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ৪০ লাখ ডলার এবং পুলিশকে ১০ লাখ ডলার দেন। আর সেই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের তীব্র সমালোচনা করেন।