চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় মামলার এজহারনামীয় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় মামলার এজহারনামীয় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

জাহিন ইসলাম,চবি প্রতিনিধি : সোমবার অক্টোবর ২১ রাতে ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী। তারা হলেন মো. ইলিয়াছ ফারুক (৪০), মো. সুমন (২৯), মো. ইসতিয়াক আহমেদ (২২), মো. রাশেদ (৩০) ও মো. আবু তাহের (৫৫)।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে চবি ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা প্রকাশ হয়, গতকাল সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন–সংলগ্ন ‘আপ্যায়ন’ নামের একটি দোকান দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ও তাঁর ভাই ইকবালের লোকজন বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। সেখানে অবস্থানরত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এজহারনামীয় ৩০ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

জানা যায়, দোকানটি ক্যাম্পাসের নয়, রেলওয়ের জায়গায়। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ জায়গাটি দখল করে রেখেছিলেন। সরকার পতনের পর এখানে নতুন করে দোকান দিয়েছেন চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শেখ মাহদি হাসান।

দোকান দখলকে কেন্দ্র করে হানিফ ও তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে মাহদি হাসানের বিবাদ চলছিলো। এর জের ধরেই সোমবার দিবাগত রাতে দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে রটে যায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আর এদিকে এলাকায় মাইকিং করে রটানো হয় যে জামায়াত–শিবিরের লোকজন স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর হামলা করছে। গুজবে কান দিয়ে শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা সংঘর্ষ জড়িত হয়।

পরে আপ্যায়নের মালিক শেখ মাহদি হাসান গতকাল রাতে হাটহাজারী থানায় মামলা করে।

এ বিষয়স জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::