যশোর: সরকার সারাদেশে ওজোপাডিকোর আওতায় পর্যায়ক্রমে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে চার কোটি গ্রাহকের মধ্যে বর্তমান সরকারের চলতি সময়ের মধ্যে কমপক্ষে এক কোটি গ্রাহককে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।
বিভিন্ন বিভাগে কার্যক্রম চলমান।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ওয়েস্টার্ন জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের আয়োজনে যশোরে ওজোপাডিকো স্মার্ট প্রি-প্রেইড মিটার স্থাপনের শুভ উদ্বোধনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন।
বিদ্যুতের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের সমস্ত শহরে সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নিশ্চিত করা হবে। সরকারের এই চলতি মেয়াদেই যশোর শহরে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন করা হবে। যশোর ওজোপাডিকো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এই প্রকল্পের আলোচনার পর এতদিন কেটে গেলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করতে না পারাটা দুঃখজনক বলেও তিনি জানান।
‘সঠিক সময়ে না করতে পারলে ওজোপাডিকোকেই এর দায় নিতে হবে। যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিদ্যুতের কেবল আন্ডারগ্রাউন্ড করলে শহরগুলোর সৌন্দর্য বাড়বে। ‘
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মদ, ওজোপাডিকো পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রহমত উল্লাহ্ মো. দস্তগীর, ওজোপাডিকো ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শফিক উদ্দীন, ওজোপাডিকো স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শহীদুল আলম।
যশোর ওজোপাডিকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১ ও ২ জোনের ৯০ হাজার ৪ শ ৩০ গ্রাহকের মধ্যে ৪৬ হাজার ৯০৬ জনকে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় অন্য এলাকায়ও মিটার প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পের সময়সীমা ২০২০ সাল ধরা হলেও এর আগেই লক্ষ্যপূরণে আশাবাদী তারা।