নরসিংদীর রায়পুরার মেথিকান্দা এলাকায় দু’পক্ষের গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র হাতে ভাইরাল হওয়া ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। ভাইরাল হওয়া ব্যক্তি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সেক্রেটারি ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী আঃ বাছেদ ওরফে বাছেদ মেম্বার। সে মেথিকান্দা গ্রামের লেয়াকত আলী ওরফে লইক্কা মিস্ত্রি’র ছেলে।
গত ২২ জুন শনিবার বিকেলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক ও সুমন সমর্থক বাছেদ মেম্বারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি গোলাগুলিতে রুপ নেয়। এসময় সুমন সমর্থক বাছেদ মেম্বার অস্ত্র হাতে রুবেল সমর্থকদের উপর গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ বলছে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তবে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সরজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল এবং অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সুমন মিয়ার সাথে সংঘর্ষ হয়। আবিদ হাসান রুবেলের হামলায় সুমন মিয়া নিহত হোন। এ ঘটনায় আবিদ হাসান রুবেল ও তাঁর বাবা ভাই সহ আরও ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে সুমনের বাবা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১২ জুন রুবেল, তাঁর বাবা ও ভাই উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন। এর জের ধরে গত শনিবার বাছেদ মেম্বারের নেতৃত্বে রুবেল ও তাঁর সমর্থকদের উপর হামলা করেন। এসময় তাঁরা বন্দুক, পিস্তল ও টেঁটা নিয়ে রুবেল ও তাঁর বাড়িতে হামলা করেন। পরে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গোলাগুলি। একপাশ থেকে বাছেদ মেম্বার নিজেই পিস্তল হাতে গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। এতে রুবেল সমর্থিত ৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে রুবেলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, বাছেদ মেম্বারের সাথে আমার শ্বশুরের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। সুমন হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে বাছেদ মেম্বার আমার স্বামী ও শ্বশুরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। আমি প্রশাসনের নিকট দাবি করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হোক।