প্রণব কুমার সাহা(মাদারীপুর প্রতিনিধি): গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যাবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনসেবার অধিকতর দৃঢ়ীকরণের লক্ষ্যে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শনিবার মাদারীপুর সদর উপজেলার আছমত আলী খান মিলনায়তনে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব, ইউপি হিসাব সহকারী বৃন্দকে নিয়ে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। দিনব্যাপী এই বিশেষ ও অভিনবত্বময় উদ্যোগের সমাপ্তি ঘটে উদ্দেশ্যের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) মো. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার মো. জাহিদুল ইসলাম মনির, রাজৈর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার মো. আসাদুজ্জামান খান, মাদারীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
ইউপি সমুহের-(১)ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদ করণ,(২) জন্ম – মৃত্যু নিবন্ধন অধিকতর বৃদ্ধি (৩)ইউপি পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি (৪) ইউপি বাজেট ব্যাবস্থাপনা শক্তিশালী করণ বিষয়ে অনুষ্ঠানে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন পুঞ্জিভূত ও উদ্ভূত সমস্যা সমূহের তাৎক্ষণিক সমাধান ও জড়তা নিষ্পন্ন করা হয়। মাদারীপুরের ডিডিএলজি’র এই বিশেষ উদ্যোগে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানবৃন্দ খুবই উপকৃত হয়েছেন বলে এক বাক্যে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আরও প্রয়োজন বলে দাবী করেন। জনস্বার্থে এই উদ্যোগের সমধর্মী আয়োজন ধারাবাহিক ভাবে মাদারীপুর জেলার সব উপজেলায় আয়োজন এর চেষ্টা থাকবে বলে ডিডিএলজি মোঃ নজরুল ইসলাম প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সচিববৃন্দ জানান, নতুন ডিডিএলজি স্যার আসার পর, তার দক্ষ প্রশাসনিক পরিচালনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এর কার্যক্রমে সমগ্র জেলায় এক অনবদ্য গতির সঞ্চার হয়েছে। দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে দেশব্যাপী জাতীয় রেটিং এ মাদারীপুর জেলা বর্তমানে সম্মানজনক স্থানে সমাসীন। ২০৪১ এর স্মার্ট – সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে ডিডিএলজি স্যারের মতো করিৎকর্মা ও ক্যারিশম্যাটিক অফিসার প্রয়োজন। ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী বৃন্দও একবাক্যে ঐকমত্য পোষণ করেন।