সমাচার ডেস্ক: একই দিন রাজধানীতে বিশাল শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার শক্তি দেখাবে আওয়ামী লীগ। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটিয়ে বড় শোডাউনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। কোনো অবস্থায় সরকারবিরোধীদের রাজপথ দখল এবং সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ দিতে চায় না তারা।
একই সঙ্গে রাজধানীর ১২টি স্থান থেকে পৃথক সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যুগপৎ এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বিএনপির সমমনা দল ও জোট। বিদেশিদের সামনে নিজেদের দাবির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন দেখাতে আজকের সময়টি বেছে নিয়েছে বিরোধী দল। আবার সমাবেশ সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে দেখাতে চায় দলটি। অবশ্য বিএনপির এই কৌশলে সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকারপক্ষ।বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বিরোধী দলের সম্ভাব্য কর্মসূচির মধ্যে দিনব্যাপী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা, রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত মানবপ্রাচীর ইত্যাদি আলোচনায় রয়েছে। এসব কর্মসূচি দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে দলটির। সেসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকামুখী রোডমার্চ ও লংমার্চ, নির্বাচন কমিশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ঢাকা ঘেরাও– সর্বশেষ দাবি না মানা পর্যন্ত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হতে পারে।অবশ্য একই সময়ে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে। জনমনেও ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। যদিও এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ থেকে দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় দলকে ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বিএনপিকে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগকে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করার শর্ত দেয়া হয়েছে।সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ আজ বুধবার (১২ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দিন বিকেল ৪টায় বিএনপির মিত্র জোট ও দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে, ১২ দলীয় জোট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে, এলডিপি এফডিসি সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে, গণফোরাম দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণঅধিকার পরিষদ (নুর) পুরানা পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ (রেজা), সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্রেস ক্লাবের সামনে, বাংলাদেশ লেবার পার্টি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বিকেল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সম্ভাব্য নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস ঠেকাতে রাজপথে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায়ও থাকবেন সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট সংকটের মুখে এত দিন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলের তৎপরতার মূল লক্ষ্য ছিল সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ তৈরি করা। এ নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসানোর প্রত্যাশাও ছিল কারও কারও মধ্যে। কিন্তু আজ থেকে বিএনপির এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সর্বাত্মক প্রতিরোধের ঘোষণায় দু’পক্ষের অনড় অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় আগামী দিনের রাজনীতি কোন পথে যায় সেটাও এখন দেখার বিষয়।
বড় শোডাউনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশ ও রাজপথে সতর্ক অবস্থান নিয়ে এর আগে থেকেই সক্রিয় ছিল আওয়ামী লীগ। ঢাকাসহ সারাদেশে এ শান্তি সমাবেশ করে আসছিল দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। তবে বিএনপির এক দফা ঘোষণার প্রেক্ষাপটে আজকের শান্তি সমাবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এ কারণে সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত দু’দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ পৃথকভাবে বর্ধিত ও প্রতিনিধি সভা করেছে। উভয় সভায় মহানগরীর দুই অংশের মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের স্ব স্ব এলাকার দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সমাবেশে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন আসনের সরকারদলীয় এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের অধিকসংখ্যক নেতাকর্মীকে সমাবেশে উপস্থিত করতে বলা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের জরুরি প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন মিলনায়তনে। মহাগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকা থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক জনসমাগমের প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগে সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত সভা করে সমাবেশে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয়ার ঘোষণা দেয়।দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির এক দফা ঘোষণার দিন ঢাকার শান্তি সমাবেশটি প্রথমে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। পরে সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে নেয়া হয়। আর সমাবেশের লোকসমাগম বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, নবাবপুর, ঠাঁটারীবাজার, মুক্তাঙ্গন, পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব এলাকায় টানানো হবে মাইক।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, এক দফার আন্দোলন ও সমাবেশের নামে বিএনপি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করতে চাইলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সরকারের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে আছি। কাউকে মাঠ দখলে নিতে দেব না, মাঠ ছেড়েও দেব না। দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগও দেব না।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিএনপি মাঝেমধ্যে এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করে। সুতরাং তাদের আবার নতুন করে এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা বিশেষ গুরুত্ববহ নয়। তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, শান্তি সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে জনসমুদ্রে রূপ নেবে। একই সঙ্গে নেতাকর্মীর ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে দেবে, দেশবাসী আগামী নির্বাচনে আবারও ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়যুক্ত করবে।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য-সন্ত্রাস করতে চাইলে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানেই সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের অপচেষ্টা চলবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে থাকবেন তারা।
বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা
সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে বিএনপির আজকের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে। এক দফা ঘোষণাকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নজরে আনার বিশেষ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতিও নিয়েছে দলটি। অবশ্য বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে প্রশাসনকে নামানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। দলীয় সূত্র মতে, ঢাকা মহানগরীর সব থানা-ওয়ার্ড ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে দল ও সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ বিএনপির সমাবেশে অংশ নেবে। আজকের সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের সমাগমের টার্গেট নিয়ে দিন-রাত কাজ করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। কোন এলাকার নেতাকর্মী সমাবেশের কোথায় অবস্থান নেবেন– তা নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। এ ছাড়া সমাবেশ সফল করতে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় প্রস্তুতি ও বর্ধিত সভা করেছে দলটি।বিএনপি নেতারা জানান, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে আরও স্পষ্ট করতে এ সমাবেশকে রাজনীতির ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখছেন তারা। আর সরকার পতনের চূড়ান্ত ধাপের কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে দলের নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কী ধরনের কর্মসূচি আসছে, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতাদের কয়েকজন জানান, এটা নির্ধারণ করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সোমবার রাতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পৃথকভাবে ফোন করে মতামত জানতে চেয়েছেন।এদিকে, একই দিন ১২টি স্থান থেকে একযোগে সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপির সমমনা অন্যান্য জোট ও দল। এই এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে তিন দিন ধরে সমমনা জোটগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গণঅধিকার পরিষদ (নুর), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে সমমনা রাজনৈতিক জোট ও দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজকের সমাবেশ থেকে একটা যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে। যে ঘোষণার মধ্যদিয়ে জাতি আশান্বিত ও উজ্জীবিত হবে। আন্দোলন আরও শক্তিশালী-বেগবান হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি জোট ও দল যার যার অবস্থান থেকে একই সময়ে একই ঘোষণা আসবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বুধবারের সমাবেশকে ঘিরে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। এই সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এখান থেকে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, তা বাস্তবায়ন হলে জনগণ তার ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।