নিউজ ডেস্ক : ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহামুদ।বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ বলেন, ভুল, অসত্য তথ্য নিয়ে গতদিন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলন করলেন, বিভিন্ন দেশের মেট্রোর ভাড়া নিয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। আজকে পুরো দেশ খুশি অথচ তারা খুশি হতে পারছেন না। এ যে রাজনৈতিক দৈন্য, এটি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাবো যে, দায়িত্বশীলদের যেমন সমালোচনা হবে, যারা বিরোধী দলে থাকে তাদেরও একটা দায়িত্ব থাকে তাদেরও সমালোচনা হওয়া প্রয়োজন। আপনারা দুটি বিষয়ই দেখবেন। আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের একচোখা নীতি নিয়ে দেখে না এবং যে সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারকে টেনে নামানোর আন্দোলনে ব্যস্ত, তাদেরও সরকারের অনুদান দেওয়া হয় এবং হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে ২০০১ সালে কলমের এক খোঁচায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ২৬ জন সাংবাদিককে বরখাস্ত করা হয়েছিল, অথচ আওয়ামী লীগের আমলে ভিন্নমতের জন্য একজন সাংবাদিককেও বরখাস্ত করা হয়নি। সব সাংবাদিকের জন্য গণমাধ্যমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৃষ্ট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দল-মত নির্বিশেষে সব সাংবাদিককে সহায়তা দিচ্ছে।সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ।এদিন চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ৩০৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ৬৮৪ জন সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর করোনা অনুদান থেকে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।